November 23, 2024, 8:22 am
বিপ্লবী ডেস্ক ॥ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়ে দাফন করা ২৪ মরদেহের মধ্যে ডিএনএ টেস্টে ১৬ জন শনাক্ত হয়েছে। দ্রুত কবর বুঝিয়ে দেয়ার পাশাপাশি সরকারি সহায়তার দাবি নিহতদের স্বজনদের।
টেস্টের রিপোর্ট পেলেই মরদেহের কবরগুলো স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
সারি সারি ২১টি কবরে দাফন করা হয়েছে গত ডিসেম্বরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে নিহত অজ্ঞাতপরিচয়ের ২৩ জনকে। অজ্ঞাতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে সিআইডির ডিএনএ টেস্টে। শনাক্তদের কবরগুলো বুঝে নিতে চান তাদের স্বজনরা।
পাশাপাশি সরকারি সহায়তারও দাবি জানান তারা। লঞ্চ দুর্ঘটনায় ছেলে হারানো এক মা বলেন, ‘আমার ছেলে, বউমা এবং নাতী তিনজনেই মারা গেছে। কিন্তু একজনেরও লাশ পাই নাই। আমার ছেলে-বউমা-নাতীর কবরগুলো বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
গত ১৯ এপ্রিল ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট প্রকাশ হলেও এখনো সেই রিপোর্ট পায়নি বলে জানায় বরগুনা জেলা প্রশাসন।
পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কবরগুলো স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ডিএনএ রিপোর্টের মাধ্যমে যদি কারও মরদেহ শনাক্ত হয়ে থাকে স্বজনদের কাছে আমরা সেই কবর বুঝিয়ে দেব। সেই সাথে সরকার যে সহায়তা দিয়েছিল সেটাও তাদেরকে বুঝিয়ে দেব।’ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে মারা হন ৪৯ জন। ঘটনার পর ২৫টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা ২৪টি মরদেহ শনাক্তের জন্য ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
Leave a Reply